মোট পৃষ্ঠাদর্শন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১১

২৫ ফেব্রুয়ারী

ধ্যান ধরি করি ধর্ম সাধন নিজের মনের ইচ্ছে পালন
মন ধরে করি মর্ম সাধন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে মর্ম বোধন
মনের জোড়ে আজকে নতুন ২১ হচ্ছে রচন
মনের জোড়েই ১৬ আবার হচ্ছে যে পালন
স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষ, স্বাধীন মনোবল
পরের অন্নে তাড়ন দেখে আঁখি আজি ছল ছল
দেশের মাঝে নতুন নতুন জ্যান্ত রক্তক্ষরন
রক্তের দাগ না শুকোতে হায় আবার বিস্ফোরন
স্বাধীন দেশে এমন কান্ড হায়রে দেখছি কি?
নিজের দেশে নিজের ঘরেই রক্ত ঝড়াচ্ছি!
রক্ত দিয়ে ভাষার দাবি যেদিন কেনা হল
সেদিন থেকে স্বদেশ ভুমি নতুন কি কি পেল?
আজকে দেশে ফের দাঁড়িয়ে ভাবছি একলা তাই?
কালকে না হয় নাইবা বাঁচি আজ কি হবে ভাই!
রক্তেস্বর স্রোতস্বিনি বঙ্গ ধারাবাহি
রক্তধারায় গঙ্গা রচে সপছি তমায় মাহি
২৫ তারিখ হাজার স্মৃতির মেঘলা ঘনঘটা
তোমায় বলে আজ জুড়াবো মনের জ্বালাটা
হাজ়ার দাবির ছত্রছলে সান্ত্রি এসে সদলবলে
বীর সেনানি এমনি করে সমরবিহীন জজ্ঞঘরে
বুলেট বুকে কেমনি মরে,গগন তারা কেমনি ঝড়ে,
আটপৌড়ে চিন্তা ফুড়ে একোন ভীষন ভয়?
বঙ্গমাতা তোমার ছেলের মূল্যবোধের এ কোন অবক্ষয়?
কোন অজানার ধুসর স্রোতে স্মৃতিপটে আচর কেটে
মনের কোনে ভীষন দানো আঘাত করে যায়
মৃত্যুরুপি জমদূতেরা কেমনি ছাড়া পায়?
আজ এ দেশে এমন করেই নতুন ইতিহাস এমনি করেই হবে রচন এমনি বার মাস!

আত্মায় আত্মায় কথা হবে

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় খোঁজ

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় খোঁজ

যেদিন তোর দেহ পোড়া ছাই দিয়ে আসর মাতবে রোজ

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় খোঁজ

হাতের লোমসব সোজা হয়ে টান টান,টান-টান

মাথার চুলগুলো ভয়ে যুবুথুবু, ভীত আজ তোর ওই প্রান।

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

মনের মতো করে মনেরই অগোচরে নিজেই পাতিস কি ফাঁদ?

পিয়াস মিটাতে তোরি খোঁজে ওত পেতে এসে গেছে দেখ জল্লাদ…

মনের মুর্তিটাকে আরেক আচল পেতে রুপসার জলস্রোতে মেলেধর

নিজেকে আড়াল করে, ভয়টাকে ধরে রেখে,চাতালে ফুঁটো এঁকে

পাহারা দিশ নিজ ঘর??

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

কঠিন প্রাণ তোর কাটবেনা কভু ঘোর,চাতালের অস্ফুট চিতকার-

শুনবেনা কেউ আর,চাতালের খোঁজ আর, পাবেনা ওই নীল খেচর,

আরেক আচল পেতে মনের মূর্তিটাকে রুপসার জলস্রোতে মেলেধর

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

একদিন সব শেষে সব নিস্তব্ধ সুনসান সুনসান

যেদিন হয়ে যাবে ভবলীলা সাঙ্গ তোর দেহে ফিরবেনা এই চেনা প্রাণ

আত্মার ধবনি শুনে নিজ হাতে দূরে ঠেলে পাবি কিসে তুই বল শান্তি,

আপন সত্তাটাকে নিজ হাতে দূরে ঠেলে মুঠো ভরে নিচ্ছিস ভ্রান্তি।

যেদিন মৃত্যু রেখা-জমদূত পাবে দেখা পাবি কি আর প্রেম-ছবক!

মৃত নিস্তব্ধ সুনসান নগরীর জুবুথুবু কাঠখোটা;

মনে তোর পড়ে গেছে কোন সে মোড়ক?

অসহায় তুই আজ ভীষন অসহায় তোর দেহে প্রান নেই হায় হায়

ছিনি মিনি খেলা খেলে প্রান ছিড়ে চলে গেছে বহু আগে হারিয়েছে ঠাঁই!

মৃত এই নগরীর জঞ্জাল তুই আজ কোন রঙ্গে রাঙ্গাবি ক্যানভাস!

তোর নস্ট তুলির তোড়ে-রঙ গুলো শুকিয়ে-মনে ছড়ায় কোন ত্রাস!

আজ তুই একলা প্রাণ নেই তোর দেহে অন্য কোথায় খোঁজে আশ্রয়!

প্রেমহীন তুই কি তার ঘরে মিশে যেতে মনটাকে দিবি না প্রশ্রয়!

আত্মায় আত্মায় কথা হোক, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হোক, আত্মায় আত্মায় রোল

ভ্রান্তির রেখা সব যুবুথুবু তোকে দেখে জলকেলি করতেই ব্যস্ত

তুই যে ভ্রান্তি ক্রেতা জীবন সাঙ্গ করে বৈঠা বিহীন নাওয়ে ত্রস্ত!

তোর আত্মায় সাড়া-পড়ে গেছে সেই কবে তোর চোখ খুঁজে ফেরে আস্রয়,

তবু তুই থমকে, ভীরু পায়ে জুবুথুবু-জুবুথুবু-জুবুথুবু কোন ভয়!

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ভয়

হাতের নখের মতো তোর চাওয়া বাড়ছে না, ইচ্ছেরা মিশকালো কুন্তল!

তোর চাওইয়া সংকট,তোরই মাঝে ছলনা, মিস্টি হাসিতে তুই খুব অচেনা;

তোর প্রাণে বৈশাখি ঝড়ের আগমনী তোর মাঝে কারো প্রাণ সাজেনা!!

আত্মায় আত্মায় কথা নেই, আত্মায় আত্মায় সংশয়

আত্মায় আত্মায় কথা নেই, আত্মায় আত্মায় ভয়

আত্মার ধবনি শুনে নিজেকে পালটে ফেলে নতুন আহবানে সাড়া দে,

জমদূত দেখা পেলে ফুসরত পাবি না ঠিকানা হবে সাড়ে তিন হাতে

আত্মায় আত্মায় কথা হোক আত্মায় আত্মায় জয়!

আত্মায় আত্মায় কথা হোক আত্মায় আত্মায় জয়!

আত্মায় আত্মায় কথা হোক, দূর হোক সব সংশয়

আত্মার ধবনি শুনে গীটারের কর্ড ভুলে সব কিছু ছুড়ে ফেলে ছুটলে,

অচেনাকে চিনতে দুয়ারে নেমে আয়, প্রাণপাখি আজো দেখ দুয়ারে

দুয়ারের দাড়ে সে-বসে আছে এক কোণে হাতে তার নিস্পৃহ আয়না,

আয়নায় চোখ রেখে নিজের বিম্ব দেখে তোর নিজ টাকে চেনা যায়না!

তুই তোর অমানিশি-পূর্নিমা-চাঁদ গলে তাকেই কি আড়চোখে দেখতি?

তোর সপ্ন মনে অকারন পুষে রেখে নিজেই কি জলে পুড়ে মরতি?

আনমন অকারণ সে যে নিস্তব্ধ সুনসান সুনসান!

দেরি হয়ে গেছে আজ কপালের কারুভাজ-

দুটি হাত তার আজি জীর্ণ,

তোরই তরে বসে থেকে নাকফুল পড়েনি;

অনামিকা ছিল তার শুন্য…

জীবনের সমাধি রচে আজ তার হায় দেখ ষোলো কলা হয়ে গেল পূর্ণ…

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ক্ষয়!

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ক্ষয়!

নিজ বোঝা বয়ে তুই বৃদ্ধ ক্ষীনকায় তোর চাওয়া আজ নয় মত্ত,

তোর প্রেম মরেনি পাখি শুধু মরে গেছে এটাই তো অপ্রিয় সত্য!

পাখি আজ চলে গেছে পাখি গেছে বাড়ি ফিরে;

তোর প্রাণ হারিয়েছে আশ্রয়

তোর আশা মরে গেছে তোরি কান্নার ধনি রুপসার জলস্রতে মিশে যায়,

নিথর সে দেহ ধরে তুই আজ অসহায়, খুব বেশি-বড় বেশি অসহায়

সংশয় খেলা খেলে তুই হয়ে একলা-প্রাণ তোর হারিয়েছে আশ্রয়

তোর তরে জেগে থেকে সব ঘুম শেষে-সে কি আবার দেবে তোকে প্রশ্রয়!

তার ঘুম ফুরাবেনা; সব কিছু চলে যাবে; রয়ে যাবে শুধু তোর সংশয়…

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

ব্যর্থ তুই তো জীবন্মৃত-তোরঅ দেহে প্রাণ নেই-হায় হায়

জমদূত এসে গেছে-ওই তোর দুয়ারে-দেখ ওই কুতসিত কদাকায়!

দেরি করে ভুল করে আত্মাকে ঠকিয়ে নিজ হাতে কুড়ালি সব সংশয়

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়।