মোট পৃষ্ঠাদর্শন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১২

আজকে একাত্তর

আজো আমি স্বপ্ন দেখি যা দেখতাম একাত্তরে,
আজো আমি পদ্য লেখি যা লিখতাম একাত্তরে,

আজো আমি অল্প বুঝি যেমন ছিলাম একাত্তরে,
আজো আমি অল্পে খুশি যেমন হতাম একাত্তরে,

আজো আমার দুঃখ আছে যেমন ছিল একাত্তরে,
আজো আমার স্বপ্নরা সব আটকে আছে একাত্তরে,

আজো আমি মিছিলে যাই, যেমন যেতাম একাত্তরে,
শিক্ষাপীঠে আজো আমার স্যারের গায়ের রক্তঝরে;

আজো আমি দোষ না করার ভীষন দোষের অপরাধি,
আজো আমি জখম হয়ে হাসপাতালে একলা কাঁদি;

আজো আমি ফেরারি আছি, যেমন ছিলাম একাত্তরে,
আমার নামে আগরতলা আজো লেখা হয় কারাগারে।

আজো ওরা শাসক হবার পূন্যসুখে উর্ধ্বে থাকে,
আজো ওরা আসন ধরে জোঁকের মতন আটকে থাকে;

আজো আমি সুশাসনের মত্ত আশায় অন্ধ আছি,
আজো আমি ন্যায়-অন্যায় বোধের ভেতর দ্বন্দ্বে আছি,

মায়ের চোখে পানি আজো, যেমন ছিল একাত্তরে,
ফেলানী নামে ভাগ্য আজো, আটকে আছে কাঁটাতারে।

আজো আমি স্বপ্ন দেখি যা দেখতাম একাত্তরে
আজো আমি পদ্য লেখি যা লিখতাম একাত্তরে

আজো আমি অল্প বুঝি যেমন ছিলাম একাত্তরে
আজো আমি অল্পে খুশি যেমন হতাম একাত্তরে

আজো আমার দুঃখ আছে, যেমন ছিল একাত্তরে...
আজো আমার স্বপ্নগুলো আটকে আছে একাত্তরে।

সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১২

স্বাধীনতা

'নতুন করে আর কি লিখব?যখন বহু আগেই রক্ত ঢেলে লিখে এনেছি তোমায় -‘স্বাধীনতা’
নতুন করে আর কি বলব? যখন গানের ভাষায় কবিতায় হয়ে গেছে সব কথা সব আলাপণ।
নতুন কিই বা শিখব আর! যখন ৪০ টি বছর ধরে, বুহু অলিগলি ঘুরে সব কিছুই হয়ে গেছে শেখা
আজ নতুন কিছুই দেখতে পাই না তাই। কারণ আমার ঘরে আজ আলো নেই।
সামনে আজ শুধুই শুণ্যতা,সীমাহীন অন্ধকার।
যখন মনের কোণে হাজার সপ্ন উঁকি দেয়, একে একে; বার বার ভীড় করে মত্ত আশা;
যখন সপ্নরা, ডানা ছড়িয়ে দেয় আকাশে,
যখন সম্ভাবনা হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকে…দূরে বহুদূরে; ঠিক গন্তব্যে।
আর তখনি…ঠিক তখনি হঠাত সব ধু ধু অন্ধকার
কোন বাহুল্য নয় কন্ঠে তাই আজ শুধুই চিতকার।
‘স্বাধীনতা’, এমন সাধীনতার কথা কেন বল বারবার?
যখন সপ্নময় চোখে একের পর এক গন্ডি পাড়ি দিয়ে শ্রেষ্ঠত্তের সপ্ন দেখে মন,
তখনি; ঠিক তখনি সব কিছু ধু ধু অন্ধকার;
তাই লাখো শহীদের দেহ নিংড়ানো রক্তে ভিজেও আমার মাটি পায়নি স্বাধীনতা
আজো আমি হাহাকার করি; দেখি না মায়ের মুখ,
কেননা আমার কাছে তো আলো নেই; আছে শুধুই সীমাহীন অন্ধকার
আজ তাই রক্ত ঢেলে যা পেয়েছি তা স্বাধীনতা নয়
শুধুই ভন্ড প্রতারক সার্থপর আর জুয়াচোর!
আজ যা পেয়েছি তা স্বাধীনতা নয়, শুধুই অভিশাপ,
শহীদের রক্ত সেদিনই আমাদের অভিশাপ দিয়েছে
যেদিন মর্যাদা ধুলোয় লুটায়ে জায়গা দিয়েছি পশুদের,
ঘৃণ্য রাজাকারের সঙ্গে করেছি আতাত
সেই অভিশাপই আজ আমাদের করছে আঘাত; পদে পদে।
কবিতার ভাষা লিখতে গিয়েও তাই আজ থমকে যাই;
আজ আমার যে পা বাধা
আমাকে করা হয়েছে শৃংখলিত,
তবু কবিতার ভাষাতেই গরজে উঠে বার বার
আমার রাইফেলের নিরভুল নিশানা;
বার বার; তারপর, আবার অন্যকারো।
কারণ যুদ্ধতো শেষ হয়নি।
সেই হৃদয় নিংড়ানো রক্তাক্ত স্বাধীনতা পাইনি এখনো
পেয়েছি একটি পবিত্র পতাকা; কিন্তু কি সম্মান রাখতে পেরেছি?
আমাকে ক্ষমা কর।
কেননা আজো ছাত্র রাজনীতের কড়াল থাবায় ঝড়াই আমি প্রাণ
রক্ত দেই তা স্পর্শ করেনা মাটি;
কারণ পশুদের বর্জ্যের মতন আমার রক্তের ঠিকানা আজ ম্যানহোল;
আজো আমার বোন ইয়াসমিন, রুমিরা প্রাণ দেয় দেশের বুকে শাস নেবার শক্তিটুকু না পেয়ে
বীরাঙ্গনা বোনদের পর ৪০ টি বছরে সহস্র বোন হয় জীবনযুদ্ধের বীরাঙ্গনা নিষিদ্ধ পল্লীতে;
আজো বাবার কোলে আমার মৃত্যু, আজো সত্যটা লেখার অপরাধে আমার ভাই টিপু পঙ্গু হয়ে যায়;
আজো ফেলানীরা ঝুলে থাকে সীমান্তে ঘন্টার পর ঘন্টা; কেউ এগোয় না
আজো ঘাতকের হাতে আমার মৃত্যু, আজো আমার মৃতদেহ পচে গলে মেশে ম্যানহোলে।
আর আমি পাইনা হদিস; আমার লাশের…
ততাকথিত বিদ্রোহের দেশপ্রেমী আমি নিরস্ত্র হয়ে মরি রক্ষক বাহিনীর হাতে;
আজো সেই ঘাতকেরা শাস্তিতে পায় জরিমানা।
না, না; এই শাস্তি আমি চাইনা কারণ এ তো প্রহষন;
আজ আমার শহীদ আত্মার ঘাতকদের বিচারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন?
কোন দেশে শুয়ে আমি! ‘স্বাধীনতা’? কাগুজে কথাতেই কি এর সীমা!
আজো কুকুর বেড়ালের মতন ঝড়ে আমার প্রাণ
না ভুল হল; পতঙ্গের মতন,
কুকুরের জন্যেও আশ্রয় থাকে;
আমার তো সেও নেই
বেড়ালের চোখের মতন নেই আলো
শুধুই সীমাহীন অন্ধকার;
যুদ্ধতো শেষ হয়নি;
আজো তাই নীতিহীন জুয়াচোরদের পকেট ভরতে নিজের সবটা দিয়ে দেই
সবটুকু; সম্মানের চেয়ে বড় দেবার আর কি আছে আমার??
যখন সপ্নালু চোখে সপ্ন নিয়ে দাড়াই আয়নায়
কি দেখি? কিছুই না;
নিকষ অন্ধকার
দেশ্টা এখন ২৫ এই আটকে গেছে ঘোষেনি স্বাধীনতা;
আসেনি স্বাধীনতা;
আর আমি বইয়ের পাতা খুলে বসে থাকি তার অপেক্ষায়।
না, কনো জান্তার জন্য নয়;
১৫ তিথীতে আমার কাছে আসবে বন্ধু চাঁদ, আলো নিয়ে;
আমার কাছেতো আলো নেই, শুধুই সীমাহীন অন্ধকার।

হঠাত কোথা থেকে ঝলকিত আলো;-আকাশে বিজলি চমক; আলোকবারতা নিয়ে এলো
কিন্তু এ কি? আমার বই আজ ভরে গেছে সস্তা সরস প্রেম গল্পে! এগুলোতে নেই বাস্তবতা।
তাই তো বার বার গরজে ওঠে এই কলম…।
কোনো পথে ছুটছে এরা, কি করছে আজ?
কোন উন্মাদনায় মেতেছে সবাই
জাতির হাস্ফাস!
একি? আমিতো স্বাধীনতা পাইনি
তাই বলে কেন এই নৈরাশ? আলোকে যে আসতেই হবে।
সেই আলোতে জ্ঞানকে অর্জন করতে হবে-এই আমাকে;
আমাতে-আলোতে মেলবন্ধন্ধন;
ধরতে হবে ওই মত্ত বিশশকে
চলতে হবে; এগুতে হবে;
কিন্তু, মেঘে ঢাকা ওই চাঁদের মতনই আমার জীবনে আজ অন্ধকার;
নিকষ অন্ধকার…
আর আজ আমার দেশ বিক্রি হয়ে গেছে; নতুন মোড়কে পরাধীনতা কিনেছি আমি,
আমার কাছে নেই খাবার, নেই পানি, নেই আলো;
কিছুই নেই; শুধু সপ্ন-
সপ্নতো দেখতেই হবে আমরা তো মানুষ!
মানুষই সপ্ন দেখে;
আর যারা টাকা দিয়ে সপ্ন বেচে; ওরা মানুষ না;
আমার সপ্ন আমার গ্যাস, আমার বিদ্যুত আমার সৃজনীশক্তি;
আমার শিক্ষা, দুর্নীতিহীন দেশ;

আমার স্বাধীনতা; যারা টাকায় আমার সপ্নগুলো বেচে দিল, আমার সপ্নগুলো কেড়ে নিল, তাদের বিরুদ্ধে লড়ব আমি,একাই;হয়তবা কিন্তু…
যুদ্ধতো এখনো শেষ হয়নি;
আমার সপ্নরা তাই ওদের ছাড়বে না,
অভিশাপ দেবে, প্রতিদিন সহস্রবার;
কিন্তু আমার পা যে বাধা;
সপ্ন নিয়ে আমি চলব কি করে?..
আমার সপ্নরাই আমায় শক্তি দেয়
দুর্বার তারুণ্য; কলম তাই আজো কথা বলে আমার হয়েআজো তাই মনে পড়ে কেউ একজন বিদ্রোহ করেছিল কবিতার ভাষায়
তাই আজ তোমারে স্মরি; গুরু তোমাকে সেলাম;
তোমার পায়েরই চলার পথের পথিক আমি- মেনে নিলাম শত অপমান;
বাকরুদ্ধ হলেও আমার কলম চলবেই
চলতে তাকে হবেই, সপ্নতো আমারি;
স্বপ্ন
কিন্তু আমার সপ্নের প্রেতাত্মারা তাদের ছাড়বে না…
প্রতিরাতে ওদের আলোকময় ঘরগুলোতে তাকিয়ে আমি নিরাশ হই,
আমার চোখে জল গড়িয়ে পরে,
আমি খুব্ধ হই, ধীক্কার দিই;
সপ্নকি শুধু ওদেরই জন্য?
এ কোন স্বাধীনতা?
যখন সাধীনভাবে কাজ করার জন্য আমার নেই আলো,
দুবেলা ভাতের সাথে খাবার জন্য নেই জল,
গ্যাস নেই, ঘর নেই, চিকিতসা নেই।আছে শুধু মৃত্যু…
হায়রে স্বাধীনতা!
মেকি ছলনাই দেখে যাব আমৃত্যু?
যখন আমার জীবনের নেই নিশ্চয়তা!
যখন শত্রু মিত্র সবাই আমার উপরে গুলি চালায়,
যখন শত্রুর ধরা রাইফেল দেখে মিত্র দাড়িয়ে হাসে
যখন আমার মৃত্যু হইয়ে যায় ‘সাধারণ ঘটনা’
দুষিত রাজনীতি কলঙ্কিত করে মহান রাস্ট্রকে;
আর আমি! চালের দাম বাড়তে দেখেই হাক ছেড়ে বাম হাতের কাজ সারি,
পথের মানুষদের দেখে থুতু ছিটাই; পরিবর্তন আর দেশ উদ্ধারের কথায় ফেনীল করি মুখ;
কিচ্ছু হবেনা বলে হাত পা গুটিয়ে পাকিস্তান-ভারতের খেলায় মেকী আনন্দের খোড়াক খুঁজি…
আর আহত মুক্তিযোদ্ধা আমার পায়ে ধরে ‘যোদ্ধা’ সম্মানটুকুর সীকৃতির মিনতি করে;
তখন আমি কি লিখতে পারি? কি বলতে পারি আর?
১৬ তুমি এখনো আসনি; ২৬ তোমাকে পালনের এর কোনো ভাষা দিতে পারিনা আমি;
কোনো উতসব নয় তোমার বন্ধকি পতাকার ঋণ সুদে আসলে বেড়েছে অনেক;
শুধুই হাহাকার,
পাইনি স্বাধীনতা…।
হে শহীদ! হে দেশপ্রেমী ৩০ লাখ বীর!
তোমরা রক্ত ঢেলেছ ভুল সময়ে,
সবই ব্যর্থ তোমরা উঠে এস, জেগে ওঠো, আর একবার
যুদ্ধতো শেষ হয়নি;
চাই আর একটা ২৬,চাই আর একটা মুক্তির সংগ্রাম
‘স্বাধীনতার’ ।

সোমবার, ৬ জুন, ২০১১

বন্ধুত্বের দাবি

একটা বিকেল শেষে গোধুলি বেলায়,
হালকা বাতাস মনে দোলা দিয়ে যায়।
একঝাঁক গাংচিল ডানা মেলে ওড়ে,
আমরা কজন থাকি মায়ার চাদরে।
হাসি গান আড্ডায় আমরা সবাই,
বন্ধুত্বের দাবি সবাই জানাই।
সন্ধ্যের অবকাশে মেশে কোন সুর?
গীটারের তালে আজ রাত বহুদুর;
আমাদের এই বন্ধুত্বের গানে,
শব্দের মায়াজালে শক্ত বাঁধনে;
রুপসার জলস্রোতে মোদের পরশে,
জোছনার আলো খেলে সোনার আদলে,
চারিদিক সুনসান নিরব নিথর,
আমরা গেয়ে চলি রাত হয় ভোর;
রাত শেষে দিন এসে নতুন আলোয়,
লালচে আভা ঢেলে মোদের জানায়;
বন্ধুত্বের নেই রাত আর দিন,
হই হই রই রই আমরা স্বাধীন,
যদি চাই পাড়ি দেই অসীম সাগর,
মোদেরই পদতলে রাত হয় ভোর;
মোরা সব বাঁধা তেড়েফুঁড়ে আসব চলে,
নতুন এ সোনা রোদ মোদেরই রবে।

মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১১

স্মৃতি

'একটা সময় ছিল আমার হাতে,
ইচ্ছের পায়ড়াটা উড়তো সাথে;
চোখদুটো ছানাবড়া করে দাঁড়কাক,
দুপুরের রোদ্দুরে পিলে ধরা ডাক।

মায়ের পাশেতে শুয়ে ছোট্ট আমি,
আচারের কৌটোটা কোথায়, জানি
মায়ের ঘুম মাখা মুদে আসা চোখ;
এক ছুটে উঠোনটা ঘুরে আসা হোক।

বিকেলের আলোতে নিয়ে ব্যাট-বল
সারাটি বেলা জুড়ে শুধু শোরগোল
তুমি-আমি আমি-তুমি আমরা সবাই,
টই-টই-রই-রই সারাটি বেলাই;

হঠাত করেই মনে নাড়া দিয়ে যায়,
সেই দস্যি দামাল ছেলে আজকে কোথায়?
সেই বাঁধভাংগা দুষ্টুমি কোথায় গেল?
ইচ্ছের পায়ড়াটা কোথা হারালো?

হঠাত তোমায় দেখে সেই ছেলেটা,
ইচ্ছের রঙ মেখে সারাটি বেলা;
সকাল-দুপুর-সাঝ কত মমতা,
রাত্রির জোনাকিরা আলো দিয়ে যা।

আজকে কোথায় তুমি! কোথায় আমি!
হিসেবের বেড়াজালে থমকে থামি;
গরমিল-গরমিল, শুধু গরমিল
মনের মৌচাকে আচানক ঢিল।

কস্টের দাঁড়কাক পিলে ধরা ডাক,
ইচ্ছের পায়ড়াকে তাড়িয়ে বেড়াক।

নিরাশ আমায় দেখে করুণাতে নয়;
সত্যি কথাই আজ তোমায় জানায়,

অন্ধ এ আমি কবে খুইয়েছি পথ,
পথের কিনারা ধরে হেটে অবসাদ;
সারাদিন একটানা-ছেঁড়া স্যান্ডেল
ইচ্ছের পায়ড়াটা হল ককটেল।

তোমার জন্যে লেখা সব কবিতা,
যদি আওড়ে যাও কভু সারাটি বেলা;
বেলা শেষে খুলে দিও-ওই জানালা,
যেথা চাঁদ এসে আলো দেয় রাত্রিবেলা।

তোমার উঠোনে পাতা সবুজ ঘাসে,
শুয়ে রাত্রি কাটাই আমি তারার সাথে,
চাঁদটাকে দেখেছিনু তোমার ঘরে;
ইচ্ছেরা পথ ভুলেছিল…

চাইনা তোমায় আমি আমার করে,
জানি মিথ্যে অভিলাষে প্রতীমা গড়ে;
কাচের মতই ভাঙ্গে নিজের হৃদয়,
কস্টের দাঁড়কাক সব করে ক্ষয়,
ইচ্ছের পায়ড়াকে তাড়িয়ে বেড়ায়।

আজ আমি তুমি দুইজন দুইটি পথে,
হেটে যেয়ে, হারাবো দুই সীমাতে;
আমার সাথে তো শুধু ছেঁড়া স্যান্ডেল,
স্মৃতিগুলো হয়ে আছে শুধু ককটেল।

জানি মিথ্যে অভিলাষে প্রতীমা গড়ে,
নিজ হাতে ভেঙ্গেছি সব প্রতীমা।'



~~~~M.H.Rahman(04-11)~~~~

শনিবার, ৭ মে, ২০১১

সুর্যের চিঠি এল দুর্বাঘাসে

সুর্যের চিঠি এল দুর্বাঘাসে, এক রাশ কাশফুল ওড়ে বাতাসে,
মিটিমিটি রোদ খেলে নদীর জলে, কোকিলেরা চুপি চুপি কথা বলে;
আমার এ মন কেন! তোমার জন্য এত আকুল হয়?
রোদেলা সকালটা তোমায় ভেবে কেন সন্ধ্যেয় পাড়ি জমায়?
মহুয়ারা গন্ধ বিলায়, পাখির অই গান শোনা যায়।।

তোমার মনের কথা পাখির কন্ঠে ভেসে সাঝের মায়ায়,
চুপি চুপি গান গেয়ে আমায় শোনায়;
বকুল মালা হয়ে তোমার শাঁখে চেপে, আমায় টানে;
মনের দুঃখগুলো নিজের পথ ভুলে সুখের গানে,
হঠাত করে কেন আমারে টানে?
মহুয়ারা গন্ধ বিলায়, পাখির অই গান শোনা যায়।।

একি তবে প্রানে, প্রিয়ার চকিত চাওয়া দোলা দিয়ে যায়?
দিবানিশি তাকে ঘিরে মনের গোপন ঘরে আনমনে সপ্ন সাজায়!
মনের গোপন ঘরে মহুয়ার মালা গেঁথে তারে টানে
প্রেমের পরশে কিগো তারেই আপন করে কাছে টানে?

যদি তাই হয় তবে আমায় নাও নাগো সঙ্গে করে,
দুজনার দুটি মন পথের অবকাশে আজ হারাবে।
সাগরের ঢেউয়ে ভেসে, গাংচীল উড়ে এসে;
হঠাত রাতের চাদর, তারার টোপড় পরে চাঁদ বুড়ি ঘুম পাড়াবে।
দুর্বা ঘাসের মাঝে সবুজ গালিচা এঁকে, রাতের মিস্টি সুবাস, তোমাকেই বারে বারে কাছে টানবে।।
দুর্বা ঘাসের মাঝে সবুজ গালিচা এঁকে রাতের মিস্টি সুবাস তোমাকেই বারে বারে কাছে টানবে।।'

রবিবার, ৬ মার্চ, ২০১১

২৫ ফেব্রুয়ারী

ধ্যান ধরি করি ধর্ম সাধন নিজের মনের ইচ্ছে পালন
মন ধরে করি মর্ম সাধন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে মর্ম বোধন
মনের জোড়ে আজকে নতুন ২১ হচ্ছে রচন
মনের জোড়েই ১৬ আবার হচ্ছে যে পালন
স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষ, স্বাধীন মনোবল
পরের অন্নে তাড়ন দেখে আঁখি আজি ছল ছল
দেশের মাঝে নতুন নতুন জ্যান্ত রক্তক্ষরন
রক্তের দাগ না শুকোতে হায় আবার বিস্ফোরন
স্বাধীন দেশে এমন কান্ড হায়রে দেখছি কি?
নিজের দেশে নিজের ঘরেই রক্ত ঝড়াচ্ছি!
রক্ত দিয়ে ভাষার দাবি যেদিন কেনা হল
সেদিন থেকে স্বদেশ ভুমি নতুন কি কি পেল?
আজকে দেশে ফের দাঁড়িয়ে ভাবছি একলা তাই?
কালকে না হয় নাইবা বাঁচি আজ কি হবে ভাই!
রক্তেস্বর স্রোতস্বিনি বঙ্গ ধারাবাহি
রক্তধারায় গঙ্গা রচে সপছি তমায় মাহি
২৫ তারিখ হাজার স্মৃতির মেঘলা ঘনঘটা
তোমায় বলে আজ জুড়াবো মনের জ্বালাটা
হাজ়ার দাবির ছত্রছলে সান্ত্রি এসে সদলবলে
বীর সেনানি এমনি করে সমরবিহীন জজ্ঞঘরে
বুলেট বুকে কেমনি মরে,গগন তারা কেমনি ঝড়ে,
আটপৌড়ে চিন্তা ফুড়ে একোন ভীষন ভয়?
বঙ্গমাতা তোমার ছেলের মূল্যবোধের এ কোন অবক্ষয়?
কোন অজানার ধুসর স্রোতে স্মৃতিপটে আচর কেটে
মনের কোনে ভীষন দানো আঘাত করে যায়
মৃত্যুরুপি জমদূতেরা কেমনি ছাড়া পায়?
আজ এ দেশে এমন করেই নতুন ইতিহাস এমনি করেই হবে রচন এমনি বার মাস!

আত্মায় আত্মায় কথা হবে

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় খোঁজ

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় খোঁজ

যেদিন তোর দেহ পোড়া ছাই দিয়ে আসর মাতবে রোজ

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় খোঁজ

হাতের লোমসব সোজা হয়ে টান টান,টান-টান

মাথার চুলগুলো ভয়ে যুবুথুবু, ভীত আজ তোর ওই প্রান।

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

মনের মতো করে মনেরই অগোচরে নিজেই পাতিস কি ফাঁদ?

পিয়াস মিটাতে তোরি খোঁজে ওত পেতে এসে গেছে দেখ জল্লাদ…

মনের মুর্তিটাকে আরেক আচল পেতে রুপসার জলস্রোতে মেলেধর

নিজেকে আড়াল করে, ভয়টাকে ধরে রেখে,চাতালে ফুঁটো এঁকে

পাহারা দিশ নিজ ঘর??

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

কঠিন প্রাণ তোর কাটবেনা কভু ঘোর,চাতালের অস্ফুট চিতকার-

শুনবেনা কেউ আর,চাতালের খোঁজ আর, পাবেনা ওই নীল খেচর,

আরেক আচল পেতে মনের মূর্তিটাকে রুপসার জলস্রোতে মেলেধর

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হবে, আত্মায় আত্মায় রোল

একদিন সব শেষে সব নিস্তব্ধ সুনসান সুনসান

যেদিন হয়ে যাবে ভবলীলা সাঙ্গ তোর দেহে ফিরবেনা এই চেনা প্রাণ

আত্মার ধবনি শুনে নিজ হাতে দূরে ঠেলে পাবি কিসে তুই বল শান্তি,

আপন সত্তাটাকে নিজ হাতে দূরে ঠেলে মুঠো ভরে নিচ্ছিস ভ্রান্তি।

যেদিন মৃত্যু রেখা-জমদূত পাবে দেখা পাবি কি আর প্রেম-ছবক!

মৃত নিস্তব্ধ সুনসান নগরীর জুবুথুবু কাঠখোটা;

মনে তোর পড়ে গেছে কোন সে মোড়ক?

অসহায় তুই আজ ভীষন অসহায় তোর দেহে প্রান নেই হায় হায়

ছিনি মিনি খেলা খেলে প্রান ছিড়ে চলে গেছে বহু আগে হারিয়েছে ঠাঁই!

মৃত এই নগরীর জঞ্জাল তুই আজ কোন রঙ্গে রাঙ্গাবি ক্যানভাস!

তোর নস্ট তুলির তোড়ে-রঙ গুলো শুকিয়ে-মনে ছড়ায় কোন ত্রাস!

আজ তুই একলা প্রাণ নেই তোর দেহে অন্য কোথায় খোঁজে আশ্রয়!

প্রেমহীন তুই কি তার ঘরে মিশে যেতে মনটাকে দিবি না প্রশ্রয়!

আত্মায় আত্মায় কথা হোক, আত্মায় আত্মায় রোল

আত্মায় আত্মায় কথা হোক, আত্মায় আত্মায় রোল

ভ্রান্তির রেখা সব যুবুথুবু তোকে দেখে জলকেলি করতেই ব্যস্ত

তুই যে ভ্রান্তি ক্রেতা জীবন সাঙ্গ করে বৈঠা বিহীন নাওয়ে ত্রস্ত!

তোর আত্মায় সাড়া-পড়ে গেছে সেই কবে তোর চোখ খুঁজে ফেরে আস্রয়,

তবু তুই থমকে, ভীরু পায়ে জুবুথুবু-জুবুথুবু-জুবুথুবু কোন ভয়!

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ভয়

হাতের নখের মতো তোর চাওয়া বাড়ছে না, ইচ্ছেরা মিশকালো কুন্তল!

তোর চাওইয়া সংকট,তোরই মাঝে ছলনা, মিস্টি হাসিতে তুই খুব অচেনা;

তোর প্রাণে বৈশাখি ঝড়ের আগমনী তোর মাঝে কারো প্রাণ সাজেনা!!

আত্মায় আত্মায় কথা নেই, আত্মায় আত্মায় সংশয়

আত্মায় আত্মায় কথা নেই, আত্মায় আত্মায় ভয়

আত্মার ধবনি শুনে নিজেকে পালটে ফেলে নতুন আহবানে সাড়া দে,

জমদূত দেখা পেলে ফুসরত পাবি না ঠিকানা হবে সাড়ে তিন হাতে

আত্মায় আত্মায় কথা হোক আত্মায় আত্মায় জয়!

আত্মায় আত্মায় কথা হোক আত্মায় আত্মায় জয়!

আত্মায় আত্মায় কথা হোক, দূর হোক সব সংশয়

আত্মার ধবনি শুনে গীটারের কর্ড ভুলে সব কিছু ছুড়ে ফেলে ছুটলে,

অচেনাকে চিনতে দুয়ারে নেমে আয়, প্রাণপাখি আজো দেখ দুয়ারে

দুয়ারের দাড়ে সে-বসে আছে এক কোণে হাতে তার নিস্পৃহ আয়না,

আয়নায় চোখ রেখে নিজের বিম্ব দেখে তোর নিজ টাকে চেনা যায়না!

তুই তোর অমানিশি-পূর্নিমা-চাঁদ গলে তাকেই কি আড়চোখে দেখতি?

তোর সপ্ন মনে অকারন পুষে রেখে নিজেই কি জলে পুড়ে মরতি?

আনমন অকারণ সে যে নিস্তব্ধ সুনসান সুনসান!

দেরি হয়ে গেছে আজ কপালের কারুভাজ-

দুটি হাত তার আজি জীর্ণ,

তোরই তরে বসে থেকে নাকফুল পড়েনি;

অনামিকা ছিল তার শুন্য…

জীবনের সমাধি রচে আজ তার হায় দেখ ষোলো কলা হয়ে গেল পূর্ণ…

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ক্ষয়!

আত্মায় আত্মায় কথা নেই আত্মায় আত্মায় ক্ষয়!

নিজ বোঝা বয়ে তুই বৃদ্ধ ক্ষীনকায় তোর চাওয়া আজ নয় মত্ত,

তোর প্রেম মরেনি পাখি শুধু মরে গেছে এটাই তো অপ্রিয় সত্য!

পাখি আজ চলে গেছে পাখি গেছে বাড়ি ফিরে;

তোর প্রাণ হারিয়েছে আশ্রয়

তোর আশা মরে গেছে তোরি কান্নার ধনি রুপসার জলস্রতে মিশে যায়,

নিথর সে দেহ ধরে তুই আজ অসহায়, খুব বেশি-বড় বেশি অসহায়

সংশয় খেলা খেলে তুই হয়ে একলা-প্রাণ তোর হারিয়েছে আশ্রয়

তোর তরে জেগে থেকে সব ঘুম শেষে-সে কি আবার দেবে তোকে প্রশ্রয়!

তার ঘুম ফুরাবেনা; সব কিছু চলে যাবে; রয়ে যাবে শুধু তোর সংশয়…

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

ব্যর্থ তুই তো জীবন্মৃত-তোরঅ দেহে প্রাণ নেই-হায় হায়

জমদূত এসে গেছে-ওই তোর দুয়ারে-দেখ ওই কুতসিত কদাকায়!

দেরি করে ভুল করে আত্মাকে ঠকিয়ে নিজ হাতে কুড়ালি সব সংশয়

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়

আত্মায় আত্মায় কথা শেষ আত্মায় আত্মায় ক্ষয়।