মোট পৃষ্ঠাদর্শন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১১

'ব্যর্থশ্রম'

দিব্যসাধন, পদ্যরচন,বিদ্যাচয়ন-নিস্প্রয়োজন;
আপন মনকে-আপনি জেনে-নিজের মনটি-কররে ওজন।
দিব্যজ্ঞানের সাধনশালা-
ধলো-শ্যামল-ময়লা-কালা,
সকল ভ্রাতা চক্ষু মুদে অলস চিন্তা কর?
ও তোর আপন মনের বাঁকে বাঁকে-দেব যে আছে তারেই আগে বর।
দিব্য সাধন ব্যস্ত হলি-বিধির বিধে বাম;
ও তোর রুদ্ধ চোখের সামনে পুরে দুষ্ট মনস্কাম।

ও তোর সাধনশালায় উঠলে বেজে হন্তারকের বীন,
দিব্য সাধন পণ্ড হলে ধরবি রনভীম?
জীবন খানি পণ্ড করে-দেবের জ্ঞানে ভণ্ড হলে,
তোরে কেন বরবে কেহ করলি ঘোড়ার ডিম?
নিজের মনের দেবকে চিনে পরের সেবা কর;
নইলে ও তোর সাধন শালাই রচবে তোরই গোঁড়।

পদ্য খাদক পদ্য রোচে করলি কিরে হায়ে!
ও তোর ছন্দগুলোর স্কন্ধদেশে শিরদারা কোথায়?
সস্তা প্রেমের ফুসমন্তর রচলি নিজের কড়ে,
ও তোর ব্যর্থ প্রেমের নিরাশ প্রলাপ লাভ কি হবে ক’রে?

পদ্যসাধন-সাধক সভা; বিজ্ঞজ্যাঠা-লক্ষ্মীছাড়া
দেশের সেবায় করলি কি তুই ঘরের কুনোকীট?
সারা জনম লিখেই গেলি হলি গ্রন্থকীট!
ও তুই আপন হাতে-কলম ধরে, পরের ভ্রান্তি ধর!
দেশের ভ্রমটা নিজেই মুছে দেশের সেবা কর।

বিদ্যারোহী শৃঙ্গজয়ী তুইতো গ্রন্থকীট
ও তোর বিদ্দ্যার জোর কোথায় ত্থাকে? ছোটা জিভের গিঁট,
সারা জনম খোয়ালি তুই একই তক্তপোশে;
হাজার ছটাক বিদ্যারে তুই ঢাললি নিজের ঠোসে,
বিদ্যার জোর কাজের বেলায় আমরা কাঠের ঢেঁকি!
সারা জনম পণ্ড করে রয়েই গেলি মেকি।
তক্তপোশের সাঙ্গ ছেড়ে হাটতি হাজার ক্রোশ,
বুঝতি তবে জীবনটাকি ঢাকতি নিজের দোষ।
ও তোর সাঙ্গ সকল তুশছে তোরে বিদ্যামোহে অন্ধ হয়ে,
সেই তোশনে মজলি ভীষণ দেশের তরে জাতির তরে করলি কি তুই বল?
তোর জাতের পিঁপড়া হাতি পায়না খুঁজে তল,

গ্রন্থ সাহেব অনেক জানেন পণ্ডিতজন আপ,
দেশকে দেখান নিত্য নতুন যুগান্তরের খাব;
নিজের কাজটি যত্ন করে নিজেই করুন তাই,
তবেই যদি হয় তো হবে যুগ-অন্তর ভাই।
নয়ত এসব আটপৌড়ে চিন্তাগুলোয় জট,
চিন্তাজটে পরান ফুটে বললে ভজঘট...।



-এম. এইচ.

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১১

১৯৭১

১ বর্তমান
তেল চিকচিক সুঠাম তুমি উচ্ছল তব চাহনি
গ্রন্থিল পেশি জৌলুশ ভরা বুকের শক্ত গাঁথুনি
চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়েছে বুদ্ধি হয়েছে ঘটে
সদা সতেজ সহাস্য তুমি যুবক হয়েছ বটে
তেল চিকচিক ঐ তনু তব ক্ষনিক জীবনে নশ্বর
জীবন মহিমা অর্জিয়া তুমি হইবেকি চির ভাস্বর
গায়ের কুর্তা রুধিতে না পারে তোমার শিনার পাটা
জীবন জোয়ারে ভাসিয়া চলিছ জাননা কোথায় ভাঁটা।

হাটিছ চলিছ বলিছ কথা সুন্দর বাংলিশ
ভাবিছ মনের গড়িবে জীবন রুপকথা-ইংলিশ
Coming-going ইংরেজি জান;জান অদ্ভুত গালি
রাতভর কথা বলতে পার ধর্মের গুড়ে বালি
নয়নে চড়িয়ে রঙ্গিন চশমা,নিশি কিনবা দিনে
দিন রাত চলে চা সিগারেট নেশাও হয় গোপনে

নিজেরে তুমি যে বিকায়ে দিয়েছ আপনি জাননা তা
যে ক্ষয়ের শুরু ৫৭(১৭৫৭) এ সেথায় হয়েছে ঘা।

বিশ্বায়ন কি বুঝেছ তুমি? বুঝনিতো কানাকড়ি,
আপন হাতে অভিশাপগুলি নিয়েছ পকেট ভরি
মুক্ত-বাজার পেয়ে গিয়ে তুমি নিজেরে বলিছ স্বাধীন
তোমার বিকোতে দেশটা আজও রয়ে গেল পরাধীন।


২ অতীত
তেল চিকচিক সুঠাম তুমি যৌবন তেজী বাহু
শুনিতে কি পাও ধরনি হেথাএ করিতেচে আহুতাহু?
জীবন প্রদীপ নিভিয়া জ্বলিছে তোমারি পদতলে
নিভিয়া নামিবে তমশা আঁধার তোমারি একটি ভুলে
জান কি তোমার জন্ম কাহিনী জানো নাকি কি যে ব্যাথা?
জীবন মাঝে যে মৃত্যুরা থাকে জানো নাকি সে কথা
জান নাকি কোন জুলুম গিয়াছে ৭১ এর সালে!
জান কি কোন মৃত্যু পুরী ঘুমায়েছে পদতলে?
বাপটা তোমার মরেছে কিভাবে রেখেছ খবর তার
কি ব্যাথা তোমার মায়ের মনেতে পেয়েছ দেখা তার?
নয়টি মাসে ৩০ লক্ষ মানুষ হয়েছে শহীদ!
কি ছিল তাদের অন্যায় বল কি ভাষায় দেবে ধিক?
সেদিনের সব কথা মনে হলে চোখ ভেজে বারবার
তবুও এসব মিছে কথা নয় শুনে যাও নমুনা তার
শিয়ালবাড়ীর জল্লাদখানা কেড়েছে হাজার প্রান
গুঁড়ায়ে গুঁড়াও হাত পায়েরে মানবের অপমান
হিংস্র পশুও বরবর নয় যতটা ওরা ছিল
'কুত্তা','শুওর' কোন গালি দেবে ভাষাটা আমারে বলো!
'মানুষ মরেছে? মরতেই পারে যুধে মানুষ মরেই।'
'মায়ের কোলের শিশুও মরে ! নিজের ঘরে বসেই?'
তোমার বয়সী যৌবন মরে বুলেট বুকে করে
২৫ মার্চে রক্তারক্তি হয়েছিল ঘরে ঘরে।

৩ ইতিহাস
জানো কি তোমার নিজের কাহিনী
জানো কি অজানা গাঁথা?
জান কি, কি ঘটেছিল ঘরে? না তুমি জাননা তা।
দুহাতে জড়ায়ে তোমারে যখন রাখিয়াছিল কোলে,
টানিয়া ধরিয়া নিয়ে গেছিল তোমার মায়েরে তুলে
বাপটা তোমার বাধা দিতে এলে ধারালো সঙ্গিন দিয়া
খুঁচায় তুলেছে চোখটা তাহার কাপিতেছে তব হিয়া?
এখনতো কিছু হয়নি শুরু কেবল শুনিয়া যাও
ব্যাথায় কাতর পিতারে ধরিতে তুমি যবে ছুটে যাও
তোমারে তুলিয়া মেরেছে আছাড় রক্তে ভেসেছে গাও
আরেক পশুর বুটের আঘাতে ফেটেছে কচি ভাল;
ভাগে তুমি হারায়েছ জ্ঞান দেখনি মায়ের হাল!
বাপরে তোমার লাথায়ে মেরেছে মায়ের চোখের ‘পরে
বৃদ্ধ দাদীরে করেছে গুলি তাহারি আপণ ঘরে
ব্যাথায় কাতড় বাপ্টা যখন এতটুকু জল চায়
মা তোমার সব ছাড়িয়া-ছুড়িয়া ছুটিয়া গিয়াছে হায়!
ভাগ্যে তুমি অজ্ঞান ছিলে দেখটা কী হলো পরে
তিনটে পশু এক খানা কোলি কেমন করিয়া ছেড়ে;
বোনটা তোমার ছিলো যেন এক উচ্ছল বালিকা,
সেদিনের পর হয়ে গেলো যেনো দুঃখের মালীকা;
সেই যে সেদিন বোনটারে ওরা ক্যাম্পে ভরিল হায়
বলিতে-কীযে দুঃখ গাঁথা মন ভরে বেদনায়।
দিন দিন করে নয়টি মাস কাটিয়া গিয়াছে তার
থাকেনি কিছুই চলিয়া গিয়াছে স্বপ্ন মেনেছে হার।

৪ আশা
তোমার বাবার রক্তবিন্দু তোমার মায়ের ঘাম
তোমার বোনের তিল তিল করা শত শত অপমান
একটি ১৬, একটি ২৬ মুখস্থ কিছু গান
এই কি তবে দাবী ছিল তার? ছুটছে প্রশ্নবাণ!
ধিক দিবে তুমি কাকে আজ বল নিজেরে বিকোয়ে হায়
রক্তের দাবী ভুলে গেছো তুমি রঙিন বেশভূষায়!
নিজের মনরে জিজ্ঞেস করো হাতে নিয়ে তার খুলি
যে থাকতো আজ শিওরের পাশে মাথায়ে কাটতো বিলি
বিশ্বায়নের মত্ত আশায়ে মুক্ত করা বাজার ফাঁদে
মাতৃভূমির স্বপ্নরা সব গোমড়া মূখে ডূকড়ে কাঁদে
দশরঙা চূল রঙচঙা জিনস শতছিন্ন পোশাক
সানগ্লাস দিয়ে হঠাৎ ময়ূর সাজো তুমি হে কাক
ভাবছো তোমারে দিলাম ধিক করলাম অপমান
ওরে না! না! ক্ষুদ্র প্রয়াস হোক তোর উদগম
নেট ঘেটে যবে জানছ তুমি নিত্য নতুন ফ্যাশন
আগে জেনে নাও জন্মে তোমার উড়ছে সে কোন নিশান!
নিজের মুক্তি-ইতিহাস জান নিজের বিবেক দিয়ে
পরের জনুরে জানাবে কি তুমি বুঝাবে বল কি দিয়ে?


বাঙালি তুমি বাংলাদেশি কখনও ভুলো না তা
যারা ছোপছাপ রঙে ধরে ভাব নেই তার জাতীয়তা
নিজের যা আছে তাই নিয়ে চলো তুমি বাঙালির ছেলে
তোমার আছে গর্বিত অতীত আর সব যাও ভুলে
বিশ্বকাতারে দাঁড়াতে গিয়ে কভু যদি পাও ভয়
জেনে রেখো তব পূর্ববর্তী রক্তে করেছে জয়!
তরুণের কাছে চিরকাল দাবী সুন্দর এক সমাজ
নিজ হাত দিয়ে ছিঁড়ে দাও সব অপরাধ সন্ত্রাস!
হাত দিয়ে রুখো, পায়ে দিয়ে দলো, রক্ত দিয়ে ঠেকাও
নইলে ধরো কলম হাতে বিশ্ববাসীরে দেখাও!
তোমার হাতেই শুরু হোক তবে নতুন বুদ্ধিজীবী;
১৪ তারিখ শত শহীদের শূন্যটা দাও পাড়ি।

ধরো তলোয়ার, হও খেলোয়াড়,
নিষ্ঠার কাজই করো বার বার; দরকার শুধু 'করা'
রাজনীতি করো কলুষমুক্ত,দুর্নীতি দাও তাড়া,
যা কিছু ভণ্ড পণ্ড করো, হোয়ে যাও খাঁটি মানুষ,
বিবেক-বুদ্ধিতে ফিরিয়ে দাও লাখো মানুষের হুশ।



.......................................................... copyright®

ঘুণপোকাদের গান

ঘুণপোকাদের আস্তাকুঁড়ে এখন আমার বাস,

সাত-সকালে শিশির ঝরা; মুক্তো-ছড়া ঘাস

আমার এখন স্বপন যেন-মরণ সম বিষ,

মনটা আমার পুড়ছে এ কোন-অচিন অহর্নিশ?

আধো রাখি আধো ঢাকি এ কোন অনুভূতি?

আমার মনের রক্ষাকবজ খুঁজছে নিজের গতি

ঘুণপোকারা আজকে বাসায় ছাউনি তুলেছে

মনটা আমার খুবলে খেয়ে সতেজ হয়েছে

আমায় নিয়ে সবাই কেন খেলছে এমন খেলা?

আমার মনের স্বপ্নাকাশে উড়ছে না আর ভেলা

মেঘগুলো সব ঘুরে-ফিরে কালো হয়েছে

কালো মেঘে ভীষণ প্লাবন জোয়ার ভেসেছে,

ঘুণপোকারা ভীষণ খুশি করছে কলরোল

প্রাণটা এখন ভাষা বিহীন খুঁজছে কোলাহল..

ঐ সুদূরে চাতক পাখি ‘জল দে’ বলে ডাকে

মনের কোণে হঠাৎ আকাশ আবির রঙে-আঁকে

নতুন ছবি; পুরনো স্মৃতি-ব্যাথাগুলো জমা

কষ্টরা সব আমার কাছে চাইছে কেবল ক্ষমা

ঘুণপোকাদের আস্তাকুঁড়ে এখন আমার বাস,

অচিন পাখীর স্মৃতি বুকে সাড়ে সর্বনাশ।

মন ভুলে আজ হাতড়ে খুঁজি নতুন ঠিকানা

ঘুণপোকারা আমার দিঠি ছাড়বেনা জানা..

তবু কেন করল এ মন এমনতর ভুল?

মনের ভুলে মন্ত্র শুনে ভ্রমর ফোটায় হূল;

মনের কোণে সর্বনাশা আবির মেঘের নাও

আমায় পাড় করবে কিনা একটু বলে যাও

জানি তুমি এই জীবনে আশার ছলনা,

আমার আমি ভাগ্যহত খুঁজছি ঠিকানা

একটা পাখি, একটা দিঠি, একটা আশা মনে;

লালন করে অহর্নিশ ধুঁকছি গোপনে,

মনের এসব সস্তা কথা নির্বোধেরই প্রলাপ

জানি এসব শুধুই কাঁটা বিনি-রক্ত-গোলাপ;

আমায় আমি আজো কেন এমন খুঁজে ফিরি?

জানি আমি পারব সবই তবু কেন হারি?

মধুর গানের মন্ত্র শুনে মিটিয়ে দিলাম সব

এখন আমার স্বপ্নশুধু করছে কলরব।

সময়টা খুব অল্প যে তাই বুঝছে না এই প্রাণ

মন গহীনে শুনছি কেবল ঘুণপোকাদের গান।

Heart's cry

Like the dreams of a twinkling star!

Like dreams of the half moon!

Like dreams of wave of the ocean!

Or…

Like a new made hand-loom!

A dream for blooming spontaneous dreams

Disclosing heaven’s key-rim;

I know one day, that’s not far;

I’ll get able & I’ll get the par

You need no explain, not for any fact;

Explains not for any exploit act.

Me, being a fisherman without a hook,

My heart is being lunged and you are my duke.

No bundle of love!

Whenever the truth

Disclose the guilt,

It’s not too far, it’s so near..

Disclosing my guilt of amour.

It’s not far benign

But the clouds are cold

My heart is freaky, it’s so much dolt

Can you care it! can you teach!

No need of needless needs?

Am I to join a concrete bridge?

With the soft fiber of heart!

Trust me there is no love dearth.

It’s not my time to remove the twill,

To see the beauty of the wondering thrill

What need you to get so close! What make you to far!

Isn't it a mess? 'NO love No tear'!

I can take you to the endless era,

When the tuck of my heart-

Come out of the deathly gymkhana.

Trust me! Trust me! O! trust me please!

I’m not a sophist, nor a sorcerer being I ;

Can you see the bloodshed, can you hear heart’s cry!

I want nothing not even time

To get the end of this endless rime.

You may decide what you wanna do

before or after thinking of ma queue..

I wish I could make you open-

Door to the endless heaven;

Heaven of beauty, a heaven of life,

Heaven which’s evergreen! where love survive!

Where the full moon shines so bright,

With the star party of twinkling light;

See your room with the moon shiny night,

search me there, and hold me tight.

Brookes’ll stop journey to the shore!

under your knee inside the dreamy door.

ভালোবাসার বিমূর্ত কবিতা

আমায় ভেবে যখন তোমার মনটা নেড়ে ওঠে,

মনের ফাঁকে মুচকি হেসে হঠাৎ শূন্যতাতে;

যখন তুমি রাতের মাঝে স্তব্ধ অন্ধকারে,

আমায় খোঁজো মনের মাঝে অস্ফুট চিৎকারে;

যখন তোমার মন সাগরের ধূসর বালুচর,

মন আকাশে নিকষ মেঘে গহীন অন্ধকার,

সাগর তীরের ধুসর তটে কাঁকড়-নুড়ির ফাঁকে,

মনের মাঝে হাতড়ে খোঁজো অচেনা সে কাকে?

আমার কণ্ঠ হঠাৎ যখন তোমার মনে পড়ে,

তোমার মনে আকুলতা যখন ধরা পড়ে;

চোখের পাতা বন্ধ করে করো অনুভব-

আমি তোমার পাশেই আছি নেইকো কোনো ক্ষোভ।

তোমার মনের সাগর মাঝে চলনা ডুব দেই

দুহাত ভরে ভালবাসার জলকে মেখে নেই

রাতের ঘোরে যখন তোমার আমায় পড়বে মনে,

খুঁজে নিও নির্জনতায়-চাপা অভিমানে,

আমি তোমার পাশেই আছি হয়ে শুন্যতা,

দিনের তুমি ব্যাস্ত ভীষণ, রাতে মূর্ততা।

সূর্যস্নাত দিনে যদি একলা হঠাৎ হও,

আমায় মনে করো তুমি থামবে মনের ঢেউ;

তোমার তরে দুহাত নেড়ে ছড়ানো শুভ্রতা

শীতের মাঝে পাবে খুঁজে নতুন উষ্ণতা

ব্যস্ত তুমি কাজের ফাঁকে একটু অবসর,

মনে পড়ে যদি আমায়ে হাতে সেই গিটার-

মনে করো পাশেই আছি হয়ে তারি তার।

মুখ লুকিয়ে হাসছি হয়ে গাঢ় অন্ধকার।

মনের টানে উথলে ওঠে অচিন সুরের মায়া,

মনে করো পাশেই আছি হয়ে তোমার ছায়া;

চাঁদের আলো- সন্ধ্যাতারা তোমার তরে জেগে,

ওদের মাঝে হাসছি দেখো, আমায় খুঁজে পাবে।

তোমার মাঝে মনটা আমার মিশে একাকার,

তোমার মনের নিরব কোনে সাজাব বাসর।

বাঁশির সুরে তোমার যদি আমায় মনে পড়ে,

জেনে রেখ আমিও তোমায়ে চাইছি বাহুডোরে;

তোমার তরে সাজিয়ে হাতে কৃষ্ণচূড়া ফুল,

হঠাৎ করে নির্বিবাদে অস্রু করে ভুল;

মনের কোনে জমা হওয়া ঝাপসা শঙ্কাদল

দেহের থেকে গড়িয়ে পড়ে হয়ে অস্রুজল।

হঠাৎ করে ডানা মেলা স্বপন পাখিরা,

মোর আকাশে উড়িয়ে দিয়ে হওগো শুকতারা।

তোমায় মনে পড়বে আমার রাত্রি-নিশি-দিন,

ভুলেও কভু ভুল্বনা হে ভালবাসার বীন

রাতের মাঝে খুঁজে নেব তোমার প্রতিচ্ছবি,

আমার গিটার তোমার মতই, থাকবে তোমার ছবি।

হঠাৎ মনে পড়লে আমায় ফিরিয়ে দিও না,

তোমার সুরে ফের বানাব সুরের মূর্ছনা।

তুমি আমার সকাল-দুপুর-রাতের স্তব্ধতা,

আমায় তোমার পড়লে মনে বুঝে নিও তা।

আকাশ...প্রমাণ...ভালবাসায়...বিমূর্ত...এ...কবিতা।