দিব্যসাধন, পদ্যরচন,বিদ্যাচয়ন-নিস্প্রয়োজন;
আপন মনকে-আপনি জেনে-নিজের মনটি-কররে ওজন।
দিব্যজ্ঞানের সাধনশালা-
ধলো-শ্যামল-ময়লা-কালা,
সকল ভ্রাতা চক্ষু মুদে অলস চিন্তা কর?
ও তোর আপন মনের বাঁকে বাঁকে-দেব যে আছে তারেই আগে বর।
দিব্য সাধন ব্যস্ত হলি-বিধির বিধে বাম;
ও তোর রুদ্ধ চোখের সামনে পুরে দুষ্ট মনস্কাম।
ও তোর সাধনশালায় উঠলে বেজে হন্তারকের বীন,
দিব্য সাধন পণ্ড হলে ধরবি রনভীম?
জীবন খানি পণ্ড করে-দেবের জ্ঞানে ভণ্ড হলে,
তোরে কেন বরবে কেহ করলি ঘোড়ার ডিম?
নিজের মনের দেবকে চিনে পরের সেবা কর;
নইলে ও তোর সাধন শালাই রচবে তোরই গোঁড়।
পদ্য খাদক পদ্য রোচে করলি কিরে হায়ে!
ও তোর ছন্দগুলোর স্কন্ধদেশে শিরদারা কোথায়?
সস্তা প্রেমের ফুসমন্তর রচলি নিজের কড়ে,
ও তোর ব্যর্থ প্রেমের নিরাশ প্রলাপ লাভ কি হবে ক’রে?
পদ্যসাধন-সাধক সভা; বিজ্ঞজ্যাঠা-লক্ষ্মীছাড়া
দেশের সেবায় করলি কি তুই ঘরের কুনোকীট?
সারা জনম লিখেই গেলি হলি গ্রন্থকীট!
ও তুই আপন হাতে-কলম ধরে, পরের ভ্রান্তি ধর!
দেশের ভ্রমটা নিজেই মুছে দেশের সেবা কর।
বিদ্যারোহী শৃঙ্গজয়ী তুইতো গ্রন্থকীট
ও তোর বিদ্দ্যার জোর কোথায় ত্থাকে? ছোটা জিভের গিঁট,
সারা জনম খোয়ালি তুই একই তক্তপোশে;
হাজার ছটাক বিদ্যারে তুই ঢাললি নিজের ঠোসে,
বিদ্যার জোর কাজের বেলায় আমরা কাঠের ঢেঁকি!
সারা জনম পণ্ড করে রয়েই গেলি মেকি।
তক্তপোশের সাঙ্গ ছেড়ে হাটতি হাজার ক্রোশ,
বুঝতি তবে জীবনটাকি ঢাকতি নিজের দোষ।
ও তোর সাঙ্গ সকল তুশছে তোরে বিদ্যামোহে অন্ধ হয়ে,
সেই তোশনে মজলি ভীষণ দেশের তরে জাতির তরে করলি কি তুই বল?
তোর জাতের পিঁপড়া হাতি পায়না খুঁজে তল,
গ্রন্থ সাহেব অনেক জানেন পণ্ডিতজন আপ,
দেশকে দেখান নিত্য নতুন যুগান্তরের খাব;
নিজের কাজটি যত্ন করে নিজেই করুন তাই,
তবেই যদি হয় তো হবে যুগ-অন্তর ভাই।
নয়ত এসব আটপৌড়ে চিন্তাগুলোয় জট,
চিন্তাজটে পরান ফুটে বললে ভজঘট...।
-এম. এইচ.
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন